ঢাকা, বাংলাদেশ

রাজশাহীর ৬ আসন বিএনপির বিভাজনের সুযোগ কাজে লাগাতে চায় জামায়াত

প্রকাশিত :

রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে জয় নিশ্চিত করতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে জামায়াতে ইসলামী। এসব আসনে কয়েক মাস আগেই প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে দলটি। ভোটকেন্দ্রিক বিভিন্ন কমিটি গঠনের কাজও শেষ হয়েছে। এখন ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন ও কেন্দ্র পরিচালনার কলাকৌশল নিয়ে তাদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন উপায়ে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে আগামী নির্বাচনে বিএনপির দুর্গ বলে খ্যাত রাজশাহীতে এমন অবিশ্বাস্য ফলাফল প্রত্যাশার বিষয়ে জামায়াত নেতারা বলছেন, ৫ বছরের বেশি রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির নিয়মিত কোনো কমিটি নেই। দীর্ঘদিন ধরে এখানে বিএনপির সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা প্রকট। নেতাকর্মীরা বহু দল-উপদলে বিভক্ত। সরকার পতনের পর থেকে বিএনপির নামে জেলাজুড়ে দখল, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও অরাজকতা করেছে একশ্রেণির নেতাকর্মী। সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে এসব ঠেকাতে পারেনি বিএনপির স্থানীয় নেতৃত্ব। বিপরীতে জামায়াতের নেতাকর্মীরা এসব অপকর্মের ধারে-কাছে যায়নি। এসবই জামায়াতের নেতাকর্মীদের জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।

জেলা জামায়াতের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেছে, স্বাধীনতার পর স্বতন্ত্রভাবে প্রথমবার অংশগ্রহণ করে ১৯৮৬ সালে সারা দেশে জামায়াত যে ১০টি আসন পেয়েছিল তার অন্যতম ছিল রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর)। দলীয় প্রতীকে এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনেও দল তাকেই প্রার্থী করেছেন।

নেতাকর্মীদের আরও দাবি, জেলার ছয়টি আসনেই জয় পেতে তারা আশাবাদী। এরমধ্যে দুটিতে জয় প্রায় নিশ্চিত। কারণ এ দুটি আসনে তাদের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিতে সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা বেশি। আসন দুটি হলো-রাজশাহী-১ ও রাজশাহী-৪ (বাগমারা)।