১০ মাস বাকি থাকতেই পদত্যাগ করলেন ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক : চাকরির বয়স ১০ মাস বাকি থাকতেই বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) চেয়ারম্যান মইনুল খান পদত্যাগ করেছেন। গত বছরের ২৮ আগস্ট তাকে নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার চাকরির বয়স ছিল। বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অনানুষ্ঠানিকভাবে মইনুল খান আগেই জানিয়েছিলেন যে তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে যেতে চান। সম্প্রতি তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েও একটি অনুলিপি পাঠিয়েছেন।
মইনুল খান ওমরাহ করার উদ্দেশ্যে বর্তমানে সৌদি আরব রয়েছেন। গত ২০ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যে সরকারি আদেশ (জিও) করেছে, সে অনুযায়ী ২৬ অক্টোবর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর ছুটি ২০ দিনের।
বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে মইনুল খানের কাছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয়, তিনি পদত্যাগ করেছেন কি না। ক্ষুদেবার্তা দেখলেও (সিন করা) তিনি কোনো জবাব দেননি।
বিটিটিসির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, অফিসের গ্রুপে তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। ওই গ্রুপে সহকর্মীদের কাছে সরকারি চাকরি থেকে ঐচ্ছিক অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান। সেখানে তিনি তাঁর চাকরিজীবনে প্রায় ৩২ বছর সরকারের বিভিন্ন পদ ও স্থানে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি জানান, সার্বিকভাবে তিনি নিজ যোগ্যতায় সরকারের জন্য সব সময় ‘ভ্যালু’ সংযোজন করার চেষ্টা করেছেন।
নিজেকে ‘অ্যাকাডেমিক’ ঘরানার ক্ষুদ্র ব্যক্তি উল্লেখ করে মইনুল খান ওই গ্রুপে জানান, গবেষণা করা ও পাঠদান তাঁর ধ্যান। এখন এরকম একটি জীবনকেই বেছে নিয়েছেন এবং এ ক্ষেত্রে বয়সসীমা নেই।
উল্লেখ্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মইনুল খানকে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান করে গত বছরের ২৮ আগস্ট নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে তাকে সচিব পদমর্যাদার এ পদে দায়িত্ব দিয়ে প্রেষণে নিয়োগ দেয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’ এতে বলা হয়, বর্তমানে এনবিআরের সদস্য (গ্রেড ১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মইনুল খান অবসর নেওয়ার আগে নিজ ক্যাডারে ফেরত যাবেন। আগামী বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার চাকরির বয়স ছিল।