যুগশঙ্খ ডেস্ক : মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য একটি টেকসই সমাধান এবং তাদের নিরাপদে মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটি মুসলিম ধর্মাবলম্বী রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর বিষয়ে এই প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করে। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যৌথভাবে এই প্রস্তাব পেশ করেছিল এবং ১০৫টি দেশ এতে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর গৃহীত এই বার্ষিক প্রস্তাবে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে: রাখাইন রাজ্যে অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘন। রোহিঙ্গা মুসলিমদের লক্ষ্যবস্তু করা এবং মানবিক প্রবেশাধিকারের ওপর বিধিনিষেধ। বাংলাদেশ ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশে রোহিঙ্গাদের অব্যাহত অনুপ্রবেশ। এতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য অব্যাহত আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানালেও গত আট বছরে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তনের কোনো বাস্তব অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে।


বাংলাদেশ স্পষ্ট করেছে যে, ১৩ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার ভার বাংলাদেশের পক্ষে আর বহন করা সম্ভব নয়। তাই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।