ঢাকা, বাংলাদেশ

১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

প্রকাশিত :

বিশেষ প্রতিবেদক : আগামী ৭ নভেম্বর জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবসকে কেন্দ্র করে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। এই দিনে সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে গৃহবন্দী জিয়াউর রহমানকে মুক্ত হন। সিপাহী-জনতা জিয়াউর রহমানকে মুক্ত কনে নিয়ে আসেন এই দিনটি আমাদের কাছে, জাতির কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দিবসটির ৫০ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে।

কর্মসূচিগুলো হলো:


১। ৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঐ দিন সকাল ৬ টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয়

কার্যালয়গুলোতে দলীয় প্রতাকা উত্তোলন করা হবে।

২। দিবসটি উপলক্ষে ৭ নভেম্বর সকাল ১০ টায় দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী মহান স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ

জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।

৩ । দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি'র উদ্যোগে ০৭ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার বেলা ৩ টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্ৰীয়

কার্যালয়ের সামনে থেকে র‍্যালী অনুষ্ঠিত হবে। ঐদিনই সারাদেশে বিএনপি'র উদ্যোগে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে র‍্যালী অনুষ্ঠিত হবে।

৪। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন স্ব স্ব উদ্যোগে আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করবে।

ক) শ্রমিক দল-৫ নভেম্বর-আলোচনা সভা

খ) ছাত্রদল-৮ নভেম্বর-আলোচনা সভা (৭ ও ৮ নভেম্বর টিএসসি-তে আলোকচিত্র প্রদর্শনী)

গ) ওলামা দল-৯ নভেম্বর-এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

ঘ) তাঁতী দল-১০ নভেম্বর-আলোচনা সভা

৫) কৃষকদল-১১ নভেম্বর-আলোচনা সভা

চ) জাসাস-১৩ নভেম্বর-শহীদ মিনারে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

৫ । ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি'র উদ্যোগে ১২ নভেম্বর ২০২৫ বুধবার চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্ৰে আলোচনা সভা।

৬। ৬ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ডকুমেন্টরী (ভিডিও, স্থিরচিত্র) ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়াসহ ফেসবুক, ইউটিউব, অনলাইনে প্রকাশ করা

হবে।

৭। নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে পোষ্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচারের মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।

এদিকে সকালে আলাদা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে জুলাই সনদ ইস্যুতে চলমান বিতর্কের বিষয়ে সরকারের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি জানান, প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে মাঠে নেমে সরকারকে হুমকিতে ফেলতে চায় না তার দল।

গয়েশ্বর বলেন, ‘জুলাই সনদ ইস্যুতে বিএনপি প্রতিবাদের পথ বেছে নিলে বর্তমান সরকার টিকতে পারবে না। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ধৈর্য্যধারণ করে এই সরকারের অধীনেই অবাধ ও সুষ্ঠু নিবর্বাচনের প্রত্যাশা করি।’

রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার জোরালো সম্ভাবনা থাকায় বিএনপিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।