কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি বৈষম্য
দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি নারীসমাজ। কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়ে চলেছে দিন দিন। তারপরও কর্মক্ষেত্রে নানা বৈষম্যের মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। সেটা নারীর প্রজাতিগত সত্তার কারণেই। নারীকে কর্মক্ষেত্রে আসতে উৎসাহিত করা হয় ঠিকই। তবে সেখানে টিকে থাকা এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যাওয়ার পথ মসৃণ হয়নি। করপোরেট নারীই হোক বা শ্রমজীবী– কেউই নানা রকমের বৈষম্যের বাইরে নয়। এর মধ্যে রয়েছে– যৌন হয়রানি, শারীরিক, মৌখিক ও মানসিক নির্যাতন, মজুরি ও পদ বৈষম্য।
গত ২২ ডিসেম্বর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বলা হয়, তৈরি পোশাকশিল্প থেকে রপ্তানি আয়ের ৮৩ শতাংশ অর্জিত হয়। ২৫ লাখ ৯০ হাজার কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে এ খাতে; যার মধ্যে ৫৭ শতাংশ নারী কর্মী। যদিও এই খাতে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে নারীর অর্থনৈতিক পরিবর্তন হচ্ছে। কিন্তু কর্মপরিবেশে তাদের নিরাপত্তা যেমন নিশ্চিত করা যায়নি, তেমনি সম্ভব হয়নি সমতাপূর্ণ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা। একটি পোশাক কারখানায় কাজ করা সুমি জানান, সমান কাজ করেও পুরুষ সহকর্মী তাঁর দ্বিগুণ মজুরি পান। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রওনক জাহান বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক ক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতি হয়েছে ঠিকই। এখনও মজুরি বৈষম্য খুব স্পষ্ট। পোশাক কারখানায় নারীর ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকলেও, সেখানে একই কাজের জন্য পুরুষের চেয়ে অনেক কম মজুরি পান একজন নারী। আবার কম মজুরির কাজগুলো নারীদের জন্য বরাদ্দ থাকে। তাদের ওপরের পদে নেওয়া হয় না বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই।’