সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৯ ১৪৩১   ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

৪২

ইরানে নিহত হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২৪  

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হয়েছেন। ইরানের রাজধানী তেহরানে যে বাসায় ছিলেন সেখানে এক হামলায় তিনি ও তার এক দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে ইরানের ইসলামিক ‌‘রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস’ (আইআরজিসি)।

হামাস এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। তবে হানিয়াকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে বলা হচ্ছে, তেহরানে গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন ইসমাইল হানিয়া। আইআরজিসি জানিয়েছে, তারা হামলার তদন্ত করছে। খবর- এপি ও প্রেস টিভি।

হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার ইসমাইল হানিয়া তেহরানে গিয়েছিলেন। এরপর সেখানেই অবস্থান করছিলেন তিনি। যে ভবনে তিনি ছিলেন সেখানে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে তিনি নিহত হয়েছেন। 

এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউস থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। হত্যাকাণ্ডটি এমন এক সময় ঘটল যখন বাইডেন প্রশাসন হামাস ও ইসরায়েলকে একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সর্বশেষ আলোচনার জন্য সিআইএ পরিচালক বিল বার্নস ইসরায়েল, কাতার ও মিশরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে রোববার রোমে গেছেন। 

বার্তা সংস্থার এপি এ ব্যাপারে জানতে একজন ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্রের কাছে বার্তা পাঠিয়েছিল। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি কোনো জবাব দেননি। ইসরায়েল প্রায়ই তাদের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ-এর  দ্বারা পরিচালিত হত্যাকাণ্ডের কথা প্রকাশ্যে আনে না।

ইসরায়েল ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী এবং দেশটির পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত অন্যদের লক্ষ্য করে বছরব্যাপী হত্যার অভিযান চালাচ্ছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ২০২০ সালে একজন শীর্ষস্থানীয় ইরানি সামরিক পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে ইরানে একটি গাড়িতে রিমোট নিয়ন্ত্রিত মেশিনগানের সাহায্যে হত্যা করা হয়েছিল। 

ইসমাইল হানিয়া ২০১৯ সালে ফিলিস্তিনের গাজা ছেড়ে কাতারে নির্বাসিত জীবনযাপন করেছিলেন। গাজার শীর্ষস্থানীয় হামাস নেতা হলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার, যিনি ৭ অক্টোবরের হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত এবং প্রায় আড়াইশ জনকে জিম্মির ঘটনায় ইসমাইল হানিয়া এবং হামাসের অন্যান্য নেতাদের হত্যার ঘোষণা দিয়েছিল ইসরায়েল। অক্টোবরের ওই হামলার পর থেকে হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যুদ্ধে ঘোষণা করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে; এরই মধ্যে ৩৯ হাজার ৩৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯০ হাজার ৯০০ জনের বেশি আহত হয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর

© সকল স্বত্ব www.jugoshankho.com কর্তৃক ® সংরক্ষিত