সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৯ ১৪৩১   ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

২০৮১

ওসি আজহারুল ইসলামের দৃঢ়তায় এড়ানো গেলো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২১  

শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার  কাজির হাট বাজারের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ডুবিল দিয়া মৌজার বিআরএস ৫১৮ এবং৫১৯ এই দুই দাগে মোট ৪৪ শতাংশ জমি হইতে ৫১৮ দাগে মোট জমি হইতে দলিল মূলে ৮ শতাংশ জমি সিরাজ টেপা, ফজলুল হক টেপা, দেলোয়ার টেপা, দুলাল টেপা গং ক্রয় করেন এবং বাকি ৩৬ শতাংশ জমি সাবেক এমপি বি এম মোজাম্মেল হক হইতে ক্রয় করেন  বাংলাদেশ সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির  সহ সভাপতি মোহাম্মদ আলীম বেপারী। কাজীরহাটের ফার্নিচার ব্যবসায়ী ফজলুল হক টেপা ও  দেলোয়ার টেপাদের  ৮ শতাংশ জমির ভিতর বর্তমানে দখল সত্বে ফার্নিচারের দোকান রয়েছে এবং তারা বর্তমানে ভোগ দখলে রয়েছে এবং বাকি ৩৬ শতাংশ জমি মোহাম্মদ আলীম ব্যাপারীর ভোগ দখলে রয়েছে। তবে ওই দুই দাগের জমি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ১০ মার্চ ১১ টার দিকে ফজলুল হক টেপা, দেলোয়ার টেপা গং এবং নেতা আলিম বেপারী এই দুই গ্রুপের উভয় পক্ষে সংঘর্ষ বাঁধবে বাঁধবে এমন উত্তেজনা মুহূর্তের বিষয়টি জাজিরা থানায় জানানো হলে জাজিরা থানার কর্তব্য পরায়ন অফিসার ইনচার্জ আজহারুল ইসলাম ঘটনার তথ্য পেয়ে তদন্ত ওসি মিন্টু বৈদ্য সহ  তাদের পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজনা মুহূর্তের সংঘর্ষটি বন্ধ করেন। জমির মালিক ফজলুল হক টেপা ও দেলোয়ার টেপা গং এবং মোহাম্মদ আলীম বেপারী উভয়েই শ্রমিক দিয়ে যার যার দখল সত্ব স্থানে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল এবং তারা দুজনেই দুই গ্রুপের লোকজন কাছাকাছি উপস্থিত রেখে ছিল। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষ লেগে যেতে পারে। বিগত দিনে জমি নিয়ে উভয় পক্ষ নড়িয়া সার্কেল এসপি মিজানুর রহমান এর কাছে সমাধানের জন্য গিয়েছিল তবে ওখান থেকে কোন সঠিক সমাধান হয়নি। সরেজমিন ঘুরে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে জানা গেছে, দুই গ্রুপের উত্তেজনা সংঘর্ষ বাঁধবে এই পরিস্থিতিতে জাজিরা থানার স্যার শক্ত হতে কঠিন ভূমিকা নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। দুই গ্রুপের নির্মাণ কাজের সময় উত্তেজনা মুহূর্তে পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কাজী, সাবেক  মেম্বার নূর হোসেন কাজী, সুলতান কাজী, ইউনুস টেপা, আমির হোসেন মাদবর সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ওই দুই গ্রুপের লোকদেরকে ডেকে তাদের নির্মাণ কাজ  বন্ধ করতে বলেন এবং এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোন খুন-খুনি হতে দিব না এখানে কোন খুন-খুনি হলে আমরা সকলেই বিপদে পরব। আমরা কাজিরহাটের ব্যবসায়ীরা কোন বিপদে পড়তে চাই না। মোস্তফা কাজী, নূর হোসেন কাজী, সুলতান কাজী, ইউনুস টেপা আমির হোসেন মাদবর এরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে সাহসিকতার সহিত ওই উত্তেজনা মুহূর্তে দুই গ্রুপকেই শান্ত করেন এবং সংঘর্ষ বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজাহারুল  ইসলাম কাজীর হাটের ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকে এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উদ্দেশ্যে বলেন আমি এই থানায় থাকাকালীন অবস্থায় কোন অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে দিব না । সিরাজ টেপা, ফজলুল হক টেপা ও আওয়ামী লীগ নেতা আলিম বেপারীর বড় ভাই আবু বক্কর ব্যাপারীর লোকদেরকে বলেন আপনারা উভয়েই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে একসাথে বসে যদি কোনো সুরাহা আসতে পারেন তাহলে আপনারা আপনাদের কাজ করবেন আর যদি কোন সমাধানে না আসতে পারেন তাহলে আপনারা দুই পক্ষই আদালতের শরণাপন্ন হবেন। আদালতের মাধ্যমে সমাধান নিয়ে এসে এখানে কাজ করবেন। ওসি আজহারুল ইসলাম ওই মুহূর্তে পরিবেশ কে শান্ত ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, এই দুই গ্রুপকে কেন্দ্র করে তৃতীয়পক্ষ যেন কোন ব্যাক্তি যাতে সুবিধা না নিতে পারে সে ব্যাপারে কঠিন হুশিয়ারি দেন।

এই বিভাগের আরো খবর

© সকল স্বত্ব www.jugoshankho.com কর্তৃক ® সংরক্ষিত