দ্রুত পদোন্নতি চান জনতা ব্যাংকের পদোন্নতি বঞ্চিতরা

যুগশঙ্খ ডেস্ক :  অর্গানোগ্রাম পরিবর্তনের মাধ্যমে দ্রুত পদোন্নতির দাবি জানিয়েছেন জনতা ব্যাংকের পদোন্নতি বঞ্চিত তিন হাজার পাঁচশত  সিনিয়র অফিসার।

২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয় ৷

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে সিনিয়র অফিসার থেকে প্রিন্সিপাল অফিসার পদে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তার সংখ্যা প্রায় ৩,৫০০ জন। কিন্তু জনতা ব্যাংকের বর্তমান অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী পদোন্নতির সুযোগ আছে কেবল ১৩০ থেকে ১৫০ জনের, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। এভাবে পদোন্নতি প্রদান করলে ২০ বছরেও অনেক যোগ্য প্রার্থীর পদোন্নতি হবেনা। তাছাড়া প্রতিবছর পদোন্নতি এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই পদে আরও কর্মকর্তা যুক্ত হওয়ায় মোট সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।

সরকারি অন্যান্য ব্যাংকের অবস্থা এরকম নয় বলে তারা জানিয়েছেন। ফলে একই সময়ে জনতা ব্যাংকে যোগদানকৃত কর্মকর্তাগণ সরকারি অন্যান্য ব্যাংকের কর্মকর্তাদের তুলনায় পিছিয়ে আছেন। এই নিয়ে কর্মকর্তাদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে। এই অবস্থা নিরসনে তারা কর্তৃপক্ষের জোড়ালো পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। পদোন্নতি বঞ্চিত এসব কর্মকর্তাদের মধ্যে ২০১১ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত অফিসার পদে নিয়োগ পাওয়া এবং বর্তমানে কর্মরত ১৯৩৬ জনের মধ্যে ২০২৩ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রিন্সিপাল অফিসার পদে পদোন্নতি পেয়েছেন কেবল ২৫০ জন। কিন্তু এখনো ১৬৮৬ জন কর্মকর্তা পদোন্নতি বঞ্চিত রয়েছেন।

কর্মকর্তাদের দাবি, অন্তত এই বিষয়টি সুরাহা হলেও প্রায় অর্ধেক পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের হতাশা কমবে এবং ব্যাংকের প্রতি তারা আরো দায়িত্বশীল হবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, যেখানে প্রিন্সিপাল অফিসার পদে সোনালী ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তার সংখ্যা ৩,৩২৩ জন, অগ্রণী ব্যাংকে ২,৬০২ জন, রুপালী ব্যাংকে ২,১০৬ জন সেখানে দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জনতা ব্যাংকে আছে কেবল ১,৭২৬ জন।

উল্লেখ্য, পদোন্নতি বঞ্চনা নিরসনে ব্যাংকের চেয়ারম্যান বরাবর গত ১২ মার্চ এবং এমডি বরাবর ১১ মার্চ স্মারকলিপি জমা দেন এসব কর্মকর্তা। কিন্তু বিষয়টির সুরাহা না হওয়ায় দফায় দফায় একই দাবিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে যাচ্ছেন এসব কর্মকর্তারা।