সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৯ ১৪৩১   ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

১৭৭১

নারীর গোপন ভিডিও বা ছবি নিয়ে ইসলাম যা বলে

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৯  

 

বর্তমান সময় নারীর নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে, তাদের গোপন কোনো বিষয়ের ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া। ইসলাম নারীদের গোপন বিষয় তালাশ করাকে নিষেধ করেছে। আল কোরআনে বলা হয়েছে ‘হে ঈমানদারগণ তোমরা নিজেদের ঘর ছাড়া অন্যকোনো ঘরে প্রবেশ করো না, যতক্ষণ না অনুমতি গ্রহণ কর এবং তার বাসিন্দাদের সালাম কর।ৃ আর যদি তোমরা তাতে কাউকে না পাও, তবে প্রবেশ করো না, যতক্ষণ না তোমাদের অনুমতি দেয়া হয়। আর যদি তোমাদের বলা হয় ‘ফিরে যাও’, তবে তোমরা ফিরে যেও-এই তোমাদের জন্য পরিচ্ছন্ন (পন্থা)। আর তোমরা যা কর, সে সম্বন্ধে আল্লাহ সম্যক অবগত।’ (সূরা নূর: ২৭-২৮)।

এখানে স্পষ্ট বিষয় যে, অনুমতি ছাড়া ঘরে প্রবেশ নিষেধের কারণ হচ্ছে, এতে নারীদের গোপন বিষয় দেখে ফেলার আশংকা। তাই অনুমতি ছাড়া ঘরে প্রবেশ করা নিষেধ। আর যদি ঘর থেকে বলা হয় ‘ফিরে যাও’ তাহলে ফিরে যেতে হবে। উঁকি দিয়ে দেখা বা অন্যকোনো পন্থায় ভেতরের খোঁজখবর নেয়ার চেষ্টা করাও ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্যতম অন্যায়।

আল্লামা কুরতুবী বলেন, ‘এই আয়াত দ্বারা মানুষের ওপর আইন করা হয়েছে যে, বাহির থেকে ঘরের ভেতরের কোনো বিষয় দেখা বা অনুমতি ছাড়া ঘরে প্রবেশ করা নিষেধ।’ কুরতুবী (রাহ.) এর এই কথা দ্বারা প্রমাণ হয়, গোপন ভিডিও ধারণ, তা যেভাবেই হোক এই আয়াতের নিষিদ্ধের অন্তর্ভূক্ত। সহীহ মুসলিম শরিফে আবু হুরায়রা (রা.) এর সূত্রে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যে লোক অনুমতি ছাড়া কারো ঘরে উকি দেবে, ঘরবাসীদের জন্য বৈধ ওর চোখ অন্ধ করে দেয়া।

অর্থাৎ কেউ কারো ঘরের ভেতরের গোপন কিছু দেখতে চাইলে তার চোখ অন্ধ করে দেয়া বৈধ এবং এর জন্য তাকে কোনো শাস্তিও ভোগ করতে হবে না; এমনটিই মনে করেছেন ইমাম কুরতুবী (রাহ.)। (তাফসীরে কুরতুবী, খন্ড-৬, পৃষ্ঠা-৫০৫)। তাহলে শুধু দেখা যদি এত মারাত্মক হতে পারে, এর জন্য চোখ অন্ধ করে দেয়াও বৈধ হয় তাহলে যে দেখার দ্বারা নারীর নিরাপত্তা আরো জটিলতার সম্মুক্ষীণ হয় তার শাস্তি কত কঠিন হতে পারে।

© সকল স্বত্ব www.jugoshankho.com কর্তৃক ® সংরক্ষিত