সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৯ ১৪৩১   ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

৩২৬৭

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে কুমিল্লার ঘোগরাবিল

আকিবুল ইসলাম হারেছ,চান্দিনাঃ

প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২০  

কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঘোগরাবিলে পর্যটন শিল্প বিকাশে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।ঘোগরাবিলের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো বিনোদন কেন্দ্র নেই। তবে সম্প্রতি উপজেলার একটি অংশ এ বিলের সৌন্দর্য উপভোগের উপযুক্ত স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
চান্দিনা উপজেলায় কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় বর্ষাজুড়েই ঘোগরাবিলের এ অংশে থাকে দর্শনার্থীদের ভিড়। আর ঈদ-পূজাসহ বিভিন্ন উৎসবকে ঘিরে লাল মসজিদ পয়েন্টে নজর কাড়ে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়।
দেশের অন্যান্য বিল থেকে এ বিলের পার্থক্য হলো এটি খরস্রোতা।ঘোগরা বিলের নাম অনুসারেই এটির নামকরণ ঘোগরাবিল।চান্দিনা,কচুয়া,দাউদকান্দি উপজেলা জুড়ে এ বিলের বিস্তৃতি।পদ্মা ও মেঘনা নদীর সঙ্গে এ বিলের সখ্য রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে অসংখ্য খাল দিয়ে এ বিলে পানি প্রবেশ করে। এ জলরাশি ঘোগরাবিল হয়ে আবারো নদীতে গিয়ে পতিত হয়। এক সময় ঘোগরাবিল এলাকাটি ছিল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, অবহেলিত।
স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো.আলী আশরাফ ঘোগরাবিলের চান্দিনা ও কচুয়া উপজেলা দুটির সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেন। এ উপজেলার লাল মসজিদ,বড়ইয়া কৃষ্মপুর ঈদগাহ,পুরনো সেতু,দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এ অঞ্চলকে দর্শনীয় স্থানের মর্যাদা দান করেছে।কুমিল্লা জেলার সর্ববৃহৎ এ বিলের প্রাণকেন্দ্র লাল মসজিদকে বলা হয় ঘোগরাবিলের হৃৎপিণ্ড।
এটি চান্দিনা ও কচুয়া উপজেলার প্রায় জিরো পয়েন্টে অবস্থিত। সাচার-রাগদৈল সড়কের ব্রিজ পয়েন্ট থেকে উল্লিখিত স্থানের দূরত্ব মাত্র ৩ কিলোমিটার।চান্দিনার মোহনপুর ও সুরীখোলা থেকে ২ কিলোমিটার মাত্র।ঘোগরাবিলের লাল মসজিদ পয়েন্টে এসে দর্শনার্থীরা বিল দর্শনের পাশাপাশি বিশাল জলরাশি দেখার সুযোগ পান। এ কারণে বর্ষা ঋতুতে দেশের হাজারো সৌন্দর্যপিপাসু জনতা ভিড় জমান ঘোগরাবিলের লাল মসজিদ পয়েন্টে। বর্ষা মৌসুমে এ বিলের মনোরম পরিবেশ দর্শকদের বেশি আকৃষ্ট করে। এ মৌসুমে ঘোগরাবিলের সুবিশাল জলরাশি, উত্তাল তরঙ্গ, পাল তোলা নৌকা দেখতে উৎসুক জনতা ছুটে আসেন।
কালের গর্ভে বিলীন হতে চলা জলাশ্রয়ী গ্রামীণ জনপদের এক সময়ের জনপ্রিয় জলযান তাল গাছের গুঁড়ি দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি ‘তালের নৌকা’ ঘোগরা বিলের ঐতিহ্যের প্রতীক।চান্দিনার ঘোগরাবিল শুধু যে বর্ষা মৌসুমে সৌন্দর্য হাতছানি দেয় তা নয়, শুষ্ক মৌসুমে অবারিত সবুজ ফসলের দিগন্ত জোড়া মাঠ বিমোহিত করে। বর্ষায় পলিমাটি জমে সমৃদ্ধ হওয়া জমিতে ইরি ধান চাষ হয়।
বর্ষার শেষ মুহুর্তে শীতের আগমনীতে নানা প্রজাতির দেশি ও অতিথি পাখির কলতান শোনা যায়। প্রকৃতির লীলাভূমি নয়নাভিরাম চান্দিনার লাল মসজিদ পয়েন্ট এ বিলের প্রাকৃতিক রূপ লাবণ্য আরো নয়নাভিরাম, মনোহর হতে পারে সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে।

এই বিভাগের আরো খবর

© সকল স্বত্ব www.jugoshankho.com কর্তৃক ® সংরক্ষিত