আগুনের ঘটনার সঙ্গে মিলিয়ে ছড়ানো হচ্ছে প্রোপাগান্ডা
রাজধানীর সদরঘাটে ময়ূর-৭ নামে একটি লঞ্চে আগুন লাগার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে; কিন্তু এ ঘটনা ২০২৩ সালের ৩০ জুনের।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকাল থেকে ফেসবুকের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।
জানা যায়, সকাল থেকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ২০২৩ সালের ৩০ জুন প্রকাশিত একটি সংবাদকে বর্তমান ঘটনা হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। ওই সময় ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের তখনকার ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন জানিয়েছিলেন, আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউনিটগুলো কার্যকরভাবে কাজ করেছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরও হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে জানা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদরঘাট এলাকার একাধিক ব্যক্তি যুগান্তরকে জানান, সম্প্রতি রাজধানীতে কয়েকটি ছোটখাটো আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাগুলোর সঙ্গে মিল রেখে পুরোনো সংবাদ এবং ভিডিওকে নতুন ঘটনা হিসেবে ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি গোষ্ঠী।
তাদের অভিযোগ, কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের দোসর এবং স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী দেশে সামাজিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে এই প্রোপাগান্ডা ব্যবহার করছে।
সদরঘাট নৌ-থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সোহাগ রানা যুগান্তরকে বলেন, সদরঘাট এলাকায় এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের অফিসার ইন্সপেক্টর মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রায় তিন বছর আগে ময়ূরের ৭ নম্বর লঞ্চে আগুন লাগার সময় আমি নিজে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নিয়েছিলাম। সম্প্রতি কিছু মানুষ আগুনের সিজনকে ব্যবহার করে ভিডিও এবং তথ্য শেয়ার করছে; যা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে এমন কোনো ঘটনা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ঘটেনি। আমরা চাই, সবাই শান্ত থেকে ও সঠিক তথ্য যাচাই করার পরই বিশ্বাস করবেন।