ঢাকা, বাংলাদেশ

ইউরিক অ্যাসিড কমানোর ৭টি সুপারফুড!

প্রকাশিত :

লাইফস্টাইল ডেস্ক : আজকের ব্যস্ত জীবনধারায় ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়া একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। যদিও এটি নীরবে শরীরে তৈরি হয়, কিন্তু এর প্রভাব অবহেলা করলে গেঁটে বাত, জয়েন্টে ব্যথা এবং কিডনির জটিলতাও দেখা দিতে পারে। তবে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে কিছু সহজ পরিবর্তন এনেই প্রাকৃতিকভাবে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয় পিউরিন ভাঙার সময়। লাল মাংস, অ্যালকোহল এবং কিছু নির্দিষ্ট খাবারের মাধ্যমে পিউরিন শরীরে প্রবেশ করে। তবে খাদ্যের মাধ্যমে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সৌভাগ্যক্রমে এমন কিছু সাধারণ খাবার আছে, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

১. চেরি
বিশেষ করে টক চেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্থোসায়ানিনে ভরপুর, যা প্রদাহ কমিয়ে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। ২০১২ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত চেরি খেলে গেঁটে বাতের ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে। প্রতিদিন কিছু টাটকা চেরি খাওয়া বা চিনি ছাড়া চেরির রস পান করা ফলপ্রসূ।

২. লেবুর পানি
লেবু শরীরে ক্ষারীয় ভারসাম্য বজায় রাখে এবং কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে প্রস্রাবের মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিড বের করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে গরম পানির সঙ্গে আধা লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং অ্যাসিডিটি কমে।

৩. সেলারি বীজ
সেলারি বীজ প্রাকৃতিক ডাইইউরেটিক হিসেবে কাজ করে, ফলে শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড সহজে বের হয়। সেলারি বীজের নির্যাস শরীরে প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সক্ষম। স্যুপ বা সালাদে ব্যবহার করুন বা জুস হিসেবে পান করুন।

৪. আপেল
ফাইবার ও ভিটামিনে সমৃদ্ধ আপেলে রয়েছে ম্যালিক অ্যাসিড, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তে জমাট বাধা কমায়। প্রতিদিন একটি আপেল খেলে শরীর প্রাকৃতিকভাবে সুস্থ থাকে।

৫. গ্রিন টি
গ্রিন টিতে থাকা ক্যাটেচিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ কমায় এবং ইউরিক অ্যাসিড উৎপাদন রোধ করে। প্রতিদিন এক থেকে দুই কাপ চিনি ছাড়া গ্রিন টি পান করলে ডিটক্স প্রক্রিয়া সক্রিয় হয় এবং জয়েন্ট সুস্থ থাকে।

৬. শসা
শসা ক্ষারীয় ও পানিযুক্ত, যা কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে ইউরিক অ্যাসিড বের করতে সাহায্য করে। খাবারে শসার টুকরো রাখুন বা পানি মিশিয়ে পান করুন। এতে শরীর থাকবে হাইড্রেটেড ও পরিষ্কার।

৭. লো-ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবার
লো-ফ্যাট দুধ ও দইয়ে থাকা প্রোটিন ইউরিক অ্যাসিড নিঃসরণে সহায়তা করে। প্রতিদিন একটি দই বা এক গ্লাস স্কিম মিল্ক গ্রহণ করলে গেঁটে বাতের ঝুঁকি কমে এবং শরীরও শক্তিশালী থাকে।

নিয়মিত পানি পান, পর্যাপ্ত ঘুম এবং উপরের খাবারগুলো ডায়েটে রাখলে সহজেই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। এতে শুধু গেঁটে বাতের ঝুঁকি কমবে না, বরং সার্বিকভাবে শরীরও থাকবে হালকা, শক্তিশালী ও সুস্থ।