ঢাকা, বাংলাদেশ

জামিন পেলেন সখিনা বেগম

প্রকাশিত :

নিজস্ব প্রতিবেদক : অনুপ্রবেশের মামলায় ভারতীয় নারী সখিনা বেগমকে জামিন দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৩ নভেম্বর) উভয়পক্ষের শুনানির পর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জাকির হোসাইন এ আদেশ দেন। এ সময় আদালতে সখিনা বেগম উপস্থিত ছিলেন। সোমবার (২৪ নভেম্বর) কারামুক্ত হবেন তিনি।

সখিনা বেগমের পক্ষের আইনজীবী রহমাতুল্যাহ সিদ্দিক বলেন, মামলাটি জামিনযোগ্য ধারা। সখিনা বেগম ইচ্ছে করে এ দেশে আসেননি। জোর করে তাকে পাঠানো হয়েছে। তার জামিনের প্রার্থনা করছি।


উভয়পক্ষের শুনানির পর আদালত সখিনা বেগমকে আশ্রয়দাতা ক্লান্তি আক্তার, তার মা জাকিয়া ও খালা ময়না আক্তারের জিম্মায় জামিনের আদেশ দেন। আগামীকাল সোমবার কারামুক্তি পাবেন সখিনা বেগম বলে জানান আইনজীবী রহমাতুল্যাহ সিদ্দিক।

আশ্রয়দাতা ক্লান্তি আক্তার বলেন, এর আগে চার দফা জামিন শুনানিতে এসেছিলাম। কিন্তু জামিন হয়নি। আজ জামিন হয়েছে। খুব আনন্দ হচ্ছে।


সখিনা বেগমকে কয়েকমাস আগে ভারতের আসাম থেকে ধরে নিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় দেশটির সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএএসএফ। এ নিয়ে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর শোরগোল পড়ে যায়। তবে এর আগেই তাকে হেফাজতে নেয় ভাষানটেক থানা পুলিশ।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সকিনাকে ভাষানটেক থানার টিনশেড টেকপাড়া গলির মাথায় পাওয়া যায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে ভারতের নাগরিক বলে দাবি করেছেন। আসামের নলবাড়ী জেলার বরকুড়া গ্রামের বাসিন্দা সখিনার পরিবারের অভিযোগ, বিএসএফ তাকে জোর করে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে।

পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য ‘দ্য কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট, ১৯৫২’-এর অধীনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। কয়েক দফা জামিন আবেদন নাকচ হওয়ার পর আজ রোববার তার আবেদনে সাড়া দিয়েছেন ঢাকার আদালত।